Tuesday, January 30, 2018

পিক্সেল কি? || অয়ন আহমেদ || ফটোগ্রাফি টিপস

- ভাই এক্সজিবিশনে ছবি দিবো। কইলো ৩০০০ বাই ২০০০ পিক্সেল ২০০ ডিপিআইয়ে দিতে। ভাই পিক্সেল কি?

আমি কইলাম,
-  বাথরুমে যখন বসেন তখন টাইলসের মতন চারকোণা বক্স। ওদির মতন দেখতে পিক্সেল। একটা ছবি হইতেছে সেইরকম অনেকগুলো টাইলসের সমষ্টি মানে পিক্সেলের সমষ্টি।

পিক্সেল যত বেশী তত বেশী শার্প ছবি। মানে ছবি যত বড় করবে তত কম ফাটবে।

ডিপিআই মানে হচ্ছে, ডট পার ইঞ্চি। যা প্রিন্টের সময় দরকার হয়। যত বেশী ডট তত ঘন প্রিন্ট।

তবে, ছবির পিক্সেল কম থাকলে যত বেশী ডিপিআই দেওয়া হোক না কেন ছবি অস্পষ্ট মনে হবে। তাই ছবির পিক্সেল স্ট্যান্ডার্ড হওয়া চাই।

এবার অংকে আসি, ছোটবেলায় জ্যামিতির ক্ষেত্রফলের কথা মনে আছে? দৈঘ্য X প্রস্থ = ক্ষেত্রফল। ভার্টিকাল অংশ দৈঘ্য আর হরাইজন্টার অংশ প্রস্থ।

দৈঘ্য X প্রস্থ এর জন্য ১০টা টাইলস নিলাম মানে পিক্সেল আর কি। তাহলে ১০ X ১০ = ১০০ পিক্সেল একটা ছবি পেয়ে গেলাম। এবং সেটার ভিতর যদি প্রিন্ট দেই সেখানে ১০ X ১০ = ১০০ ডট দিতে হবে।

তাহলে, সমীকরণ দাঁড়ালো,
পিক্সেল / ডিপিআই
= ১০০ পিক্সেল/ ১০০ ডিপিআই
= ১ ইঞ্চি।


আমরা পেয়ে গেলাম ১ ইঞ্চির প্রিন্টেড ছবি।

অনেক সময় ক্যামেরার গায়ে লেখা দেখবেন ২০ মেগাপিক্সেল। এর মানে ১ মেগা পিক্সেল হলো ১ মিলিয়ন পিক্সেল মানে ১০ লাখ পিক্সেল। আপনি বের করে ফেলতে পারবেন ৫০০০ পিক্সেল X ৪০০০ পিক্সেল = ২০ মেগাপিক্সেল।

এখানে আমরা ডিপিআই লাগিয়ে দিয়ে প্রয়োজন মতন সাইজ প্রিন্ট দিতে পারবো।

আপনি এখন সহজে বের করতে পারবেন, ৩০০০ পিক্সেল X ২০০০ পিক্সেল ছবিতে ২৫০ ডিপিআই দিলে কত সাইজ প্রিন্টেড ছবি বের হবে তা আমি নিচে সমীকরণে মিলিয়ে দিলাম,

৩০০০ পিক্সেল X ২০০০ পিক্সেল / ২০০ ডিপিআই
= ৬০ ইঞ্চি X ৪০ ইঞ্চি ।

আপনার ছবির সাইজ হচ্ছে, ৬০ ইঞ্চি X ৪০ ইঞ্চি।

আশাকরি, পিক্সেল ও প্রিন্ট সাইজের ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

হ্যাপি ক্লিকিং

Monday, January 1, 2018

একনজরে দেখে নিন ফ্লিকারের বর্ষসেরা ২৫টি ছবি || এনামুল হাসান

ফ্লিকার (ইংরেজিতে যাকে আমরা সবাই Flickr হিসেবে জানি) ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি জনপ্রিয় হোস্টিং পরিষেবা, যেখানে যে কেউ চাইলেই তার তোলা ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করতে পারেন। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কানাডার ভ্যাঙ্কুবার থেকে যাত্রা শুরু করা ফ্লিকারের উৎপত্তি লুডিকর্প নামের একটি কোম্পানি থেকে। ২০০৫ সালে ২২-২৫ মিলিয়ন ডলারে ইয়াহু কর্তৃক ক্রয়কৃত এই ফ্লিকার অবশ্য Game Neverending নামের একটি অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমের জন্য বানানো হয়েছিল। সে যা-ই হোক, ফ্লিকার আজ প্রায় আজ দশ বিলিয়ন ছবির সমৃদ্ধ এক ভাণ্ডার, ২০ লক্ষ ফটোগ্রাফার গ্রুপের ‘আবাসভূমি’। ২০১৭ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখো ফটোগ্রাফারের কোটি কোটি ছবি থেকে ফ্লিকার কর্তৃপক্ষ নির্বাচিত করেছেন এ বছরের সেরা ২৫টি ছবি। আসুন দেখে আসি সেই ছবিগুলো, সাথে জেনে নিই তাদের পেছনে থাকা কারিগর ও ছবির গল্পমালা।

বিদায় বেলার গল্প
এটি একটি সাজানো মঞ্চের উপস্থাপনা। আর সেখানে যদি বয়স্কদের পরিবর্তে কোমলমতি শিশুদের রাখা হয়, তো ছবির আবেদন বহুগুণে বেড়ে যায়। এরকম ভাবনা থেকেই ছবিটি তুলেছেন পোলিশ ফটোগ্রাফার পোডলাসিন্সকা। সনির ILCE-7M2 মডেলের ক্যামেরায় তোলা হয়েছে এই অসাধারণ ছবিটি।

হস্তির হন্টন

নাইকনের D810A ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছে হস্তিপ্রস্তরের এই প্যানোরামিক ছবিটি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা উপত্যকার দিগন্ত যখন সদ্য উদিত চাঁদের আলোয় রাঙিয়ে দিচ্ছিলো প্রকৃতিকে, ঠিক তখনই ছবিটি ধারণ করেন পেশায় রেডিওলজিস্ট ও নেশায় ফটোগ্রাফার ওয়েইন পিঙ্কস্টন।

আলোয় রাঙা রঙিন সৃষ্টি

“A good snapshot stops a moment from running away.”

আমেরিকান লেখক ইউডোরা এলিস উল্টির এই উক্তির সাথে উপরের ছবিটির কি যেন এক রহস্যময় সাযুজ্য লুকিয়ে আছে। ছবিটি তুলতে ক্যাননের EOS 5D Mark III মডেল ব্যবহার করেছেন ফটোগ্রাফার।

নীল হিমবাহে আছড়ে পড়া ঢেউ

ক্যাননের EOS 5D Mark II দিয়ে তোলা এই ছবিটি জেরি ফ্রাইয়েরের, যিনি প্রকৃতিসকাশে থাকতে খুবই ভালবাসেন। নীল হিমবাহ আর প্রাগৈতিহাসিক আগ্নেয়ভূমির আইসল্যান্ডের এই অসামান্য সৌকর্যের বেলাভূমি যেন তারই একটি প্রমাণ।

বাভারিয়ার রহস্যঘেরা ‘নিষ্প্রাণ’ নিসর্গ
জার্মান ফটোগ্রাফার নিলস স্টেফানের এই ছবিটি যেন সুউচ্চ দূর পাহাড়,বাভারিয়ার নিঃসঙ্গ শীত, নিষ্প্রাণ বরফাচ্ছন্ন বৃক্ষরাজি ও স্থির প্রতিবিম্বের লেকের এক নৈসর্গিক সম্মেলন।

আগুনের পরশমণি
Volcán de Fuego- অ্যান্টিগা গুয়েতেমালার একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই আগ্নেয় পর্বতটি শেষবারের মতো লাভা উদগিরণ করে। নেদারল্যান্ডের ফটোগ্রাফার আলবার্ট ড্রস তার সনি ILCE-7RM2 ক্যামেরায় যে ছবিটি ধারণ করেন, সেটি ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ তোলা। এটি একইসাথে লাভার উত্তপ্ততা ও মিল্কিওয়ে পটভূমির এক অসামান্য সমন্বয়।

নিমগ্ন স্কুইরেল
স্কুইরেলটি এমনভাবে বাদামের খোসা ছাড়াচ্ছিল যেন কেউ তাকে এটি উপহার দিয়েছে। এটি আরেক নেদারল্যান্ডের ফটোগ্রাফার গ্ল্যাডিস ক্লিপের অনন্য চিত্রগল্প।

সাদা-কালোয়
সাদা-কালোর আবেদন সর্বদাই চিরন্তন। বেলজিয়ান ফটোগ্রাফার কোয়েন জ্যাকব তাই সাদা-কালোয় তুলে ধরেছেন বেলজিয়ামের অন্যতম বৃহৎ রোমান ক্যাথোলিক গির্জা Basilica of the Sacred Heart-এর অন্দরমহলের দৃশ্য। গির্জা অভ্যন্তরের এই আলো ছায়ার কারসাজি তিনি ক্যাননের EOS 5D Mark III ক্যামেরা দিয়ে তুলে ধরেছেন।

শিরোনামহীন চাউনি
রাশিয়ান ফটোগ্রাফার এলেনা শুমিলোভা একজন স্থপতি বলেই হয়তো তিনি তার এই ছবির কোনো শাব্দিক শিরোনাম দেননি। হারিকেনের আলোয় তাকিয়ে থাকা শিশুর কাঁচভেদী অপলক দৃষ্টি যেন জীবনের এক শিরোনামহীন গল্প। ঠিক আগের ছবির মতো এটিও ক্যাননের EOS 5D Mark III ক্যামেরায় ধারণ করা।

পদক্ষেপ
ফটোগ্রাফার ক্রিস ফ্রাঙ্কের ক্যানন EOS 5D Mark II ক্যামেরায় ধারণ করা শেষ বিকেলের এই ছবিটি যেন জীবনচক্রের এক পরাবাস্তব রূপকল্পের আবহ তৈরি করে।

মহাজাগতিক প্যানোরামা
৫৩টি ছবির প্যানোরামিক সম্মেলন অস্ট্রেলিয়ান ফটোগ্রাফার টেভর ডবসনের এই ছবিটি। মিল্কিওয়ের এই অসাধারণ সুন্দর ছবিটি তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে তুলেছেন, যেখানে হার্ভি বাঁধ অবস্থিত।

মধ্যযুগের প্রতিচ্ছবি
ফরাসি ফটোগ্রাফার লোইক লাগাখ্‌দ ক্যাননের EOS 5D Mark III ক্যামেরায় যেন তুলে ধরেছেন নরম্যান্ডির শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনা Le Mont Saint-Michel-এর এক ঘোলাটে প্রতিবিম্ব।


শীতের আলিঙ্গন
শখের বশেই ছবি তোলেন ম্যাক্স গর। তার এই শখ পূরণের পুরস্কার যেন লন্ডনের বৃষ্টিস্নাত মুহূর্তের এই ছবিটি।

শিকার ও শিকারী
ফটোগ্রাফার সালাহ বাযিযি একজন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। পাখিদের নিয়েই তার কাজ। শিকার ধরা অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার বলসা চিকা সৈকতে এই গ্রেট ব্লু হেরনটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন তিনি; সাথে ছিল ক্যাননের 7D ক্যামেরা।

উত্তরের নিঃসঙ্গ ভূধর
ফরাসি ফটোগ্রাফার এতিয়েনের তোলা এই ছবির ঐ দূর পাহাড়টির নাম ভেস্ট্রাহর্ন; আইসল্যান্ডের সৌকর্যমণ্ডিত এক জনবিরল দর্শনীয় স্থান। খাড়া উঁচু হয়ে আকাশ ছোঁয়ার এক প্রাণান্ত প্রচেষ্টা যেন বাস্তবে রূপলাভ করেছে স্থির পানিতে থাকা স্বচ্ছ প্রতিবিম্বে। এ যেন স্বপ্নে দেখা এক কাল্পনিক জগত।


উত্তরের মেরুপ্রভা
ফরাসি ফটোগ্রাফার জোনাথনের তোলা এই ছবিটি নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের উত্তর মেরুপ্রভার। ইতালিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি মেরুপ্রভার নামকরণ করেন অরোরা বা ভোরের দেবী নামে। মেরুপ্রভা দেখা যায় উভয় মেরুতেই। আর দুই মেরুর জন্য এর আছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। উত্তর বা সুমেরুর মেরুপ্রভাকে বলে Aurora borealis বা নর্দার্ন লাইটস এবং দক্ষিণের বা কুমেরুরটাকে বলা হয় Aurora australis বা সাউদার্ন লাইটস।


নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড- কুয়াশাচ্ছন্ন ভারমন্টের এক রহস্যময় সকাল। ফটোগ্রাফার আনিয়া তুজেলের তোলা এই ছবিটি যেন এক নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিকের অজানার পানে যাত্রা করার রূপক উপস্থাপন।


পাহাড় ও লেকের মধ্যখানে
                  
ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফিকে নিজের ভেতর ধারণ করে আছেন হান্স-পিটার ডয়েশ। কোনো এক শীতকালীন অবকাশে তিনি গিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাটে। হলস্ট্যাট গ্রামটিকে তার মনে হয়েছে পাহাড় ও লেকের মাঝে গুঁজে বসে থাকা এক নিভৃত জনপদ।

সিংহ নগরীর আকাশ
নিজেকে শৌখিন ফটোগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দেওয়া জার্মানির আলেকজান্ডার লটারবাখ তার সনি ক্যামেরা দিয়ে তুলে ধরেছেন রাতের বর্ণিল সিঙ্গাপুরকে।


নবদিবসের উপক্রমণিকা

ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার পলের কাছে একটি নতুন ভোর নিয়ে আসে এক নতুন দিন, এক নতুন জীবন। ছবিটি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত স্টীটলি জেটির। জেটিটিকে বিখ্যাত বলার কারণ এটি বহু ফটোগ্রাফারের কাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তু।

বাভারিয়ান ঐতিহ্য
এটি জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিম বাভারিয়ার নিউ সোয়ানস্টেইন দুর্গ। উনিশ শতকের এই শতাব্দী প্রাচীন দুর্গটি এক নিভৃতচারী রাজা দ্বিতীয় লুডভিগ তৈরি করেছিলেন। জার্মান ফটোগ্রাফার আকিম থোমায়ের তোলা এই ছবিটি যেন নিষ্প্রাণ শীতে শত বছরের ইতিহাস ধারণ করে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকা এক বাভারিয়ান ঐতিহ্য।


সূর্যাস্তের দিগন্ত
ফটোগ্রাফার ব্র্যাড এইডি সেই সত্তরের দশক থেকে ছবি তুলে আসছেন। তিনি প্রথমে ফর্মূলা ওয়ানে প্রতিযোগিতার ছবি তুলতেন। তিনি হলেন সেই সৌভাগ্যবান ফটোগ্রাফারদের একজন, যারা নাইকন FTN এসএলআর ক্যামেরা থেকে শুরু করে বর্তমানের নাইকন D750 ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলেছেন। উপরের ছবিটি তোলার সময় পরিবেশের তাপমাত্রা খুবই কম ছিল। হিমাঙ্কের নিচে চলে যাওয়া তাপমাত্রায় ব্র্যাডের ক্যামেরার ব্যাটারির শক্তি ক্রমেই কমে আসছিল। কিন্তু দূরের শুভ্র মেঘে সূর্যাস্তের শেষ আলোকচ্ছটার এই সৌন্দর্য কি ধারণ না করে থাকা যায়?

তাসমান সৌন্দর্য

নিউজিল্যান্ডের পর্বতবেষ্টিত তাসমান গ্লেসিয়ার লেকের এই অনন্য সুন্দর ছবিটি সপ্না রেড্ডি তার নাইকনের D800E ক্যামেরায় ধারণ করেন।

দৌর্মনস্য*
২১ বছর বয়সী এলিস একজন কুকুরপ্রেমী। কিয়ারা ও সিরি নামের তার দুটি কুকুর আছে। কিন্তু তা-ই বলে এক লাল শেয়াল তার মন কাড়তে পারবে না, তা কি হয়? এক বিষণ্ণতা নিয়ে যেন সে তাকিয়ে আছে পেছন পানে।

* দৌর্মনস্য মানে বিষণ্ণতা; ইংরেজিতে যাকে বলে Melancholia।


হলুদ চোখের নিশাচর
আর্ল রেইনিঙ্কের ফটোগ্রাফির যাত্রা চল্লিশ বছরের; সেই ১৯৭৭ সাল থেকে ক্যামেরার পেছনে তার চোখজোড়াকে রেখে দিয়েছেন। আর সে কারণেই কিনা এই উড়ন্ত ধূসর পেঁচার এমন অসামান্য ছবিটি তিনি তুলতে পেরেছেন।


তথ্য টি : ROAR বাংলা থেকে নেওয়া

ফ্লিকার ব্লগে দেখুন সেরা ২৫ টি ছবি:
http://blog.flickr.net/en/2017/12/07/top-25-photos-on-flickr-in-2017-from-around-the-world/