Tuesday, January 30, 2018

পিক্সেল কি? || অয়ন আহমেদ || ফটোগ্রাফি টিপস

- ভাই এক্সজিবিশনে ছবি দিবো। কইলো ৩০০০ বাই ২০০০ পিক্সেল ২০০ ডিপিআইয়ে দিতে। ভাই পিক্সেল কি?

আমি কইলাম,
-  বাথরুমে যখন বসেন তখন টাইলসের মতন চারকোণা বক্স। ওদির মতন দেখতে পিক্সেল। একটা ছবি হইতেছে সেইরকম অনেকগুলো টাইলসের সমষ্টি মানে পিক্সেলের সমষ্টি।

পিক্সেল যত বেশী তত বেশী শার্প ছবি। মানে ছবি যত বড় করবে তত কম ফাটবে।

ডিপিআই মানে হচ্ছে, ডট পার ইঞ্চি। যা প্রিন্টের সময় দরকার হয়। যত বেশী ডট তত ঘন প্রিন্ট।

তবে, ছবির পিক্সেল কম থাকলে যত বেশী ডিপিআই দেওয়া হোক না কেন ছবি অস্পষ্ট মনে হবে। তাই ছবির পিক্সেল স্ট্যান্ডার্ড হওয়া চাই।

এবার অংকে আসি, ছোটবেলায় জ্যামিতির ক্ষেত্রফলের কথা মনে আছে? দৈঘ্য X প্রস্থ = ক্ষেত্রফল। ভার্টিকাল অংশ দৈঘ্য আর হরাইজন্টার অংশ প্রস্থ।

দৈঘ্য X প্রস্থ এর জন্য ১০টা টাইলস নিলাম মানে পিক্সেল আর কি। তাহলে ১০ X ১০ = ১০০ পিক্সেল একটা ছবি পেয়ে গেলাম। এবং সেটার ভিতর যদি প্রিন্ট দেই সেখানে ১০ X ১০ = ১০০ ডট দিতে হবে।

তাহলে, সমীকরণ দাঁড়ালো,
পিক্সেল / ডিপিআই
= ১০০ পিক্সেল/ ১০০ ডিপিআই
= ১ ইঞ্চি।


আমরা পেয়ে গেলাম ১ ইঞ্চির প্রিন্টেড ছবি।

অনেক সময় ক্যামেরার গায়ে লেখা দেখবেন ২০ মেগাপিক্সেল। এর মানে ১ মেগা পিক্সেল হলো ১ মিলিয়ন পিক্সেল মানে ১০ লাখ পিক্সেল। আপনি বের করে ফেলতে পারবেন ৫০০০ পিক্সেল X ৪০০০ পিক্সেল = ২০ মেগাপিক্সেল।

এখানে আমরা ডিপিআই লাগিয়ে দিয়ে প্রয়োজন মতন সাইজ প্রিন্ট দিতে পারবো।

আপনি এখন সহজে বের করতে পারবেন, ৩০০০ পিক্সেল X ২০০০ পিক্সেল ছবিতে ২৫০ ডিপিআই দিলে কত সাইজ প্রিন্টেড ছবি বের হবে তা আমি নিচে সমীকরণে মিলিয়ে দিলাম,

৩০০০ পিক্সেল X ২০০০ পিক্সেল / ২০০ ডিপিআই
= ৬০ ইঞ্চি X ৪০ ইঞ্চি ।

আপনার ছবির সাইজ হচ্ছে, ৬০ ইঞ্চি X ৪০ ইঞ্চি।

আশাকরি, পিক্সেল ও প্রিন্ট সাইজের ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

হ্যাপি ক্লিকিং

Monday, January 1, 2018

একনজরে দেখে নিন ফ্লিকারের বর্ষসেরা ২৫টি ছবি || এনামুল হাসান

ফ্লিকার (ইংরেজিতে যাকে আমরা সবাই Flickr হিসেবে জানি) ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি জনপ্রিয় হোস্টিং পরিষেবা, যেখানে যে কেউ চাইলেই তার তোলা ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করতে পারেন। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কানাডার ভ্যাঙ্কুবার থেকে যাত্রা শুরু করা ফ্লিকারের উৎপত্তি লুডিকর্প নামের একটি কোম্পানি থেকে। ২০০৫ সালে ২২-২৫ মিলিয়ন ডলারে ইয়াহু কর্তৃক ক্রয়কৃত এই ফ্লিকার অবশ্য Game Neverending নামের একটি অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমের জন্য বানানো হয়েছিল। সে যা-ই হোক, ফ্লিকার আজ প্রায় আজ দশ বিলিয়ন ছবির সমৃদ্ধ এক ভাণ্ডার, ২০ লক্ষ ফটোগ্রাফার গ্রুপের ‘আবাসভূমি’। ২০১৭ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখো ফটোগ্রাফারের কোটি কোটি ছবি থেকে ফ্লিকার কর্তৃপক্ষ নির্বাচিত করেছেন এ বছরের সেরা ২৫টি ছবি। আসুন দেখে আসি সেই ছবিগুলো, সাথে জেনে নিই তাদের পেছনে থাকা কারিগর ও ছবির গল্পমালা।

বিদায় বেলার গল্প
এটি একটি সাজানো মঞ্চের উপস্থাপনা। আর সেখানে যদি বয়স্কদের পরিবর্তে কোমলমতি শিশুদের রাখা হয়, তো ছবির আবেদন বহুগুণে বেড়ে যায়। এরকম ভাবনা থেকেই ছবিটি তুলেছেন পোলিশ ফটোগ্রাফার পোডলাসিন্সকা। সনির ILCE-7M2 মডেলের ক্যামেরায় তোলা হয়েছে এই অসাধারণ ছবিটি।

হস্তির হন্টন

নাইকনের D810A ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছে হস্তিপ্রস্তরের এই প্যানোরামিক ছবিটি। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা উপত্যকার দিগন্ত যখন সদ্য উদিত চাঁদের আলোয় রাঙিয়ে দিচ্ছিলো প্রকৃতিকে, ঠিক তখনই ছবিটি ধারণ করেন পেশায় রেডিওলজিস্ট ও নেশায় ফটোগ্রাফার ওয়েইন পিঙ্কস্টন।

আলোয় রাঙা রঙিন সৃষ্টি

“A good snapshot stops a moment from running away.”

আমেরিকান লেখক ইউডোরা এলিস উল্টির এই উক্তির সাথে উপরের ছবিটির কি যেন এক রহস্যময় সাযুজ্য লুকিয়ে আছে। ছবিটি তুলতে ক্যাননের EOS 5D Mark III মডেল ব্যবহার করেছেন ফটোগ্রাফার।

নীল হিমবাহে আছড়ে পড়া ঢেউ

ক্যাননের EOS 5D Mark II দিয়ে তোলা এই ছবিটি জেরি ফ্রাইয়েরের, যিনি প্রকৃতিসকাশে থাকতে খুবই ভালবাসেন। নীল হিমবাহ আর প্রাগৈতিহাসিক আগ্নেয়ভূমির আইসল্যান্ডের এই অসামান্য সৌকর্যের বেলাভূমি যেন তারই একটি প্রমাণ।

বাভারিয়ার রহস্যঘেরা ‘নিষ্প্রাণ’ নিসর্গ
জার্মান ফটোগ্রাফার নিলস স্টেফানের এই ছবিটি যেন সুউচ্চ দূর পাহাড়,বাভারিয়ার নিঃসঙ্গ শীত, নিষ্প্রাণ বরফাচ্ছন্ন বৃক্ষরাজি ও স্থির প্রতিবিম্বের লেকের এক নৈসর্গিক সম্মেলন।

আগুনের পরশমণি
Volcán de Fuego- অ্যান্টিগা গুয়েতেমালার একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই আগ্নেয় পর্বতটি শেষবারের মতো লাভা উদগিরণ করে। নেদারল্যান্ডের ফটোগ্রাফার আলবার্ট ড্রস তার সনি ILCE-7RM2 ক্যামেরায় যে ছবিটি ধারণ করেন, সেটি ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ তোলা। এটি একইসাথে লাভার উত্তপ্ততা ও মিল্কিওয়ে পটভূমির এক অসামান্য সমন্বয়।

নিমগ্ন স্কুইরেল
স্কুইরেলটি এমনভাবে বাদামের খোসা ছাড়াচ্ছিল যেন কেউ তাকে এটি উপহার দিয়েছে। এটি আরেক নেদারল্যান্ডের ফটোগ্রাফার গ্ল্যাডিস ক্লিপের অনন্য চিত্রগল্প।

সাদা-কালোয়
সাদা-কালোর আবেদন সর্বদাই চিরন্তন। বেলজিয়ান ফটোগ্রাফার কোয়েন জ্যাকব তাই সাদা-কালোয় তুলে ধরেছেন বেলজিয়ামের অন্যতম বৃহৎ রোমান ক্যাথোলিক গির্জা Basilica of the Sacred Heart-এর অন্দরমহলের দৃশ্য। গির্জা অভ্যন্তরের এই আলো ছায়ার কারসাজি তিনি ক্যাননের EOS 5D Mark III ক্যামেরা দিয়ে তুলে ধরেছেন।

শিরোনামহীন চাউনি
রাশিয়ান ফটোগ্রাফার এলেনা শুমিলোভা একজন স্থপতি বলেই হয়তো তিনি তার এই ছবির কোনো শাব্দিক শিরোনাম দেননি। হারিকেনের আলোয় তাকিয়ে থাকা শিশুর কাঁচভেদী অপলক দৃষ্টি যেন জীবনের এক শিরোনামহীন গল্প। ঠিক আগের ছবির মতো এটিও ক্যাননের EOS 5D Mark III ক্যামেরায় ধারণ করা।

পদক্ষেপ
ফটোগ্রাফার ক্রিস ফ্রাঙ্কের ক্যানন EOS 5D Mark II ক্যামেরায় ধারণ করা শেষ বিকেলের এই ছবিটি যেন জীবনচক্রের এক পরাবাস্তব রূপকল্পের আবহ তৈরি করে।

মহাজাগতিক প্যানোরামা
৫৩টি ছবির প্যানোরামিক সম্মেলন অস্ট্রেলিয়ান ফটোগ্রাফার টেভর ডবসনের এই ছবিটি। মিল্কিওয়ের এই অসাধারণ সুন্দর ছবিটি তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে তুলেছেন, যেখানে হার্ভি বাঁধ অবস্থিত।

মধ্যযুগের প্রতিচ্ছবি
ফরাসি ফটোগ্রাফার লোইক লাগাখ্‌দ ক্যাননের EOS 5D Mark III ক্যামেরায় যেন তুলে ধরেছেন নরম্যান্ডির শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনা Le Mont Saint-Michel-এর এক ঘোলাটে প্রতিবিম্ব।


শীতের আলিঙ্গন
শখের বশেই ছবি তোলেন ম্যাক্স গর। তার এই শখ পূরণের পুরস্কার যেন লন্ডনের বৃষ্টিস্নাত মুহূর্তের এই ছবিটি।

শিকার ও শিকারী
ফটোগ্রাফার সালাহ বাযিযি একজন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। পাখিদের নিয়েই তার কাজ। শিকার ধরা অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার বলসা চিকা সৈকতে এই গ্রেট ব্লু হেরনটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন তিনি; সাথে ছিল ক্যাননের 7D ক্যামেরা।

উত্তরের নিঃসঙ্গ ভূধর
ফরাসি ফটোগ্রাফার এতিয়েনের তোলা এই ছবির ঐ দূর পাহাড়টির নাম ভেস্ট্রাহর্ন; আইসল্যান্ডের সৌকর্যমণ্ডিত এক জনবিরল দর্শনীয় স্থান। খাড়া উঁচু হয়ে আকাশ ছোঁয়ার এক প্রাণান্ত প্রচেষ্টা যেন বাস্তবে রূপলাভ করেছে স্থির পানিতে থাকা স্বচ্ছ প্রতিবিম্বে। এ যেন স্বপ্নে দেখা এক কাল্পনিক জগত।


উত্তরের মেরুপ্রভা
ফরাসি ফটোগ্রাফার জোনাথনের তোলা এই ছবিটি নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের উত্তর মেরুপ্রভার। ইতালিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি মেরুপ্রভার নামকরণ করেন অরোরা বা ভোরের দেবী নামে। মেরুপ্রভা দেখা যায় উভয় মেরুতেই। আর দুই মেরুর জন্য এর আছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। উত্তর বা সুমেরুর মেরুপ্রভাকে বলে Aurora borealis বা নর্দার্ন লাইটস এবং দক্ষিণের বা কুমেরুরটাকে বলা হয় Aurora australis বা সাউদার্ন লাইটস।


নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড- কুয়াশাচ্ছন্ন ভারমন্টের এক রহস্যময় সকাল। ফটোগ্রাফার আনিয়া তুজেলের তোলা এই ছবিটি যেন এক নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিকের অজানার পানে যাত্রা করার রূপক উপস্থাপন।


পাহাড় ও লেকের মধ্যখানে
                  
ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফিকে নিজের ভেতর ধারণ করে আছেন হান্স-পিটার ডয়েশ। কোনো এক শীতকালীন অবকাশে তিনি গিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাটে। হলস্ট্যাট গ্রামটিকে তার মনে হয়েছে পাহাড় ও লেকের মাঝে গুঁজে বসে থাকা এক নিভৃত জনপদ।

সিংহ নগরীর আকাশ
নিজেকে শৌখিন ফটোগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দেওয়া জার্মানির আলেকজান্ডার লটারবাখ তার সনি ক্যামেরা দিয়ে তুলে ধরেছেন রাতের বর্ণিল সিঙ্গাপুরকে।


নবদিবসের উপক্রমণিকা

ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার পলের কাছে একটি নতুন ভোর নিয়ে আসে এক নতুন দিন, এক নতুন জীবন। ছবিটি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত স্টীটলি জেটির। জেটিটিকে বিখ্যাত বলার কারণ এটি বহু ফটোগ্রাফারের কাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তু।

বাভারিয়ান ঐতিহ্য
এটি জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিম বাভারিয়ার নিউ সোয়ানস্টেইন দুর্গ। উনিশ শতকের এই শতাব্দী প্রাচীন দুর্গটি এক নিভৃতচারী রাজা দ্বিতীয় লুডভিগ তৈরি করেছিলেন। জার্মান ফটোগ্রাফার আকিম থোমায়ের তোলা এই ছবিটি যেন নিষ্প্রাণ শীতে শত বছরের ইতিহাস ধারণ করে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকা এক বাভারিয়ান ঐতিহ্য।


সূর্যাস্তের দিগন্ত
ফটোগ্রাফার ব্র্যাড এইডি সেই সত্তরের দশক থেকে ছবি তুলে আসছেন। তিনি প্রথমে ফর্মূলা ওয়ানে প্রতিযোগিতার ছবি তুলতেন। তিনি হলেন সেই সৌভাগ্যবান ফটোগ্রাফারদের একজন, যারা নাইকন FTN এসএলআর ক্যামেরা থেকে শুরু করে বর্তমানের নাইকন D750 ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলেছেন। উপরের ছবিটি তোলার সময় পরিবেশের তাপমাত্রা খুবই কম ছিল। হিমাঙ্কের নিচে চলে যাওয়া তাপমাত্রায় ব্র্যাডের ক্যামেরার ব্যাটারির শক্তি ক্রমেই কমে আসছিল। কিন্তু দূরের শুভ্র মেঘে সূর্যাস্তের শেষ আলোকচ্ছটার এই সৌন্দর্য কি ধারণ না করে থাকা যায়?

তাসমান সৌন্দর্য

নিউজিল্যান্ডের পর্বতবেষ্টিত তাসমান গ্লেসিয়ার লেকের এই অনন্য সুন্দর ছবিটি সপ্না রেড্ডি তার নাইকনের D800E ক্যামেরায় ধারণ করেন।

দৌর্মনস্য*
২১ বছর বয়সী এলিস একজন কুকুরপ্রেমী। কিয়ারা ও সিরি নামের তার দুটি কুকুর আছে। কিন্তু তা-ই বলে এক লাল শেয়াল তার মন কাড়তে পারবে না, তা কি হয়? এক বিষণ্ণতা নিয়ে যেন সে তাকিয়ে আছে পেছন পানে।

* দৌর্মনস্য মানে বিষণ্ণতা; ইংরেজিতে যাকে বলে Melancholia।


হলুদ চোখের নিশাচর
আর্ল রেইনিঙ্কের ফটোগ্রাফির যাত্রা চল্লিশ বছরের; সেই ১৯৭৭ সাল থেকে ক্যামেরার পেছনে তার চোখজোড়াকে রেখে দিয়েছেন। আর সে কারণেই কিনা এই উড়ন্ত ধূসর পেঁচার এমন অসামান্য ছবিটি তিনি তুলতে পেরেছেন।


তথ্য টি : ROAR বাংলা থেকে নেওয়া

ফ্লিকার ব্লগে দেখুন সেরা ২৫ টি ছবি:
http://blog.flickr.net/en/2017/12/07/top-25-photos-on-flickr-in-2017-from-around-the-world/

Wednesday, December 20, 2017

"হিম উৎসব" Photography Exhibition

Photographers,
It is our immense pleasure to let you all know that
পরম্পরায় আমরা is back with 'হিম উৎসব' and we are going to organize a Photography Exhibition which is a part of that biggest event.

Exhibition Date: (18.1.2018 – 20.1.2018)

Exhibition Time: 10am -10pm

Anyone can send photo story/photo series/ documentry to enter into the exhibition.

Theme: Open ( Any kind of theme will be accepted).

Categories: Color and B&W both will be accepted.

Submit your photos at:
poromporay.amra@gmail.com

Hand to hand submission will also be accepted.

Submission Starts: 21.12.2017

Submission Deadline: 5.12.2016 (before 12 am)

Rules of entry:
1. Anyone from Bangladesh is eligible to enter the exhibition.
2. Entrant may submit maximum of 2 series...
3.Photo Story may contain 3-10 photographs.
4.No particular captions required for each photograph of the photo story
3. Any kind of borders, watermark and signature are strictly prohibited. Presence of any of these may result in elimination.
4. Each image can be color or B&W, but must be at least 3000 pixels on the longer side and 300 dpi resolutions, in JPEG format, with a maximum file size 10 MB.
5. Photo manipulation will be accepted.
6. Photographs captured by mobile will also be accepted.
8. Please do not submit images that were submitted to previous exhibitions of ours.
9. পরম্পরায় আমরা reserve the right to modify the terms and conditions of the exhibition.
10. পরম্পরায় আমরা reserve the right to eliminate any photograph under proper causes.
11. Rename each photo in the following format:

For each story:
Caption_Participant’s Name_Mobile No_Institution_PS
Example: Their Story_Shourov Rahman_016XXXXXXXX_Jahangirnagar University_PS
No particular captions required for each photograph of the photo story.


Payment Procedures:
.
Payment Procedures will announce after result.

For any Kind of information regarding this event, please visit our official Facebook Page: https://mobile.facebook.com/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-448371408686988?_rdc=1&_rdr

Friday, October 13, 2017

চিত্রকের ২য় বর্ষপূর্তি উদযাপন


ছবি তোলা একটা আর্ট,একটা শিল্প, একেকটি ছবি একেকটা সৃষ্টি, আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষদেরকে অনুপ্রেরণা দিতে এবং চট্টগ্রামে এই শিল্পের প্রসারের লক্ষে ২০১৫ তে যাত্রা শুরু করে ফটোগ্রাফিক কমিউনিটি চিত্রক” গত ১০ই অক্টোবর ২০১৭ দুই বছর পূরণ করল এই গ্রুপ। এই উপলক্ষে আজ চট্টগ্রামের সি, আর, বি শিরিষ তলায় আয়োজন করা হয় দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান।
ইমরান হোসাইনের সভাপত্বিতে মাজহারূল আলমের সঞ্চালনায় ও মিরাজুল মইনের স্বাগত বক্তব্যর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, এত প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফটোব্যাংক: ফটোআর্ট ইনষ্টিটিউটের ফটোগ্রাফি শিক্ষক ফয়সাল আজিম, প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে আমরা যখন ছবি দেখি তখন একটা লাইক, লাভ, বা ওয়াও দিয়ে চলে যাই, কিন্তু গতানুগতিক ভাবে এটা না করে আমরা যদি ছবিটা তে লাইক বা লাভ দেওয়ার কারন টা উল্লেখ করি তাহলে ছবিদাতা আরো অনুপ্রাণিত হবে এবং খারাপ লাগলে কারন টা যদি তাকে বলে দেই তাহলে সে তার ভুলটি বুঝতে সক্ষম হবে। আর ফটোগ্রাফি নিয়ে বেশী বেশী ওয়ার্কশপ, ফটোওয়ার্ক ইত্যাদি আয়োজন করা প্রয়োজন, যাতে এই বিষয়টা আরো ভাল করে জানা এবং শেখা যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে থার্ডআই ফটোগ্রাফিক সোসাইটির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কাজী মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম বলেন  ফটোগ্রাফিক কর্মকান্ডে চট্টগ্রাম অনেকটা পিছিয়ে, এজন্য চিত্রকের মত অনন্য গ্রুপ গুলো কেউ আরো এগিয়ে আসতে হবে, ফটোগ্রাফি ভিত্তিক বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ রোমান, সাইদ তানিম, হাবিব আফনান, আশিক মুন্না, আব্দুল্লাহ বিন হাবিব, নার্গিস সীমা, ফরিদুল ইসলাম, মাসুদ সরকার, আদিয়ান ইসলাম অভি, সাহিদ হোসেন, কাজী ইমরান রাজন, অর্গ, ইব্রাহীম খলিল রাজু, ইমরুল কায়েস, ইফতেখার আহমেদ ইফতি, মাঈনুল ইসলাম অলিন, আহমেদ হোসাইন, মোশারফ হোসেন প্রমুখ সবশেষে দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

Wednesday, September 27, 2017

Pink Lady® Food Photographer of the Year 2018 || Exhibiton News || Chitrok


Pink Lady® Food Photographer of the Year 2018 has officially opened the shutter for its seventh year.

DEADLINE: Feb 06, 2018
WINNER IS: Judged
ENTRY: Paid Entry
ENTRY FEE: 30 GBP per 5 photographic entries

To celebrate, the Awards are serving up a delicious feast of seven new judges and exciting new categories too.
New jurists are Ferran Adria, iconic chef of the oft-voted world’s best restaurant, El Bulli, Jenna Close, American Society of Media Photographers, Henry Dallal, Photographer, Sheila Dillon, The Food Programme, BBC Radio 4, Pierre Koffman, legendary 3-Michelin starred chef, Alison Morley, Documentary Practice and Visual Journalism, International Center of Photography, H.E. Ali Bin Thalith, Secretary General, HIPA and Tamara Beckwith, The Little Black Gallery.

To spice up the process, David Loftus, hugely influential and respected food photographer, is to be Chair of the Judges, while categories include for the very first time, Student Food Photographer of the Year to facilitate the next generation.

“It just gets better and better each year – from Austria to Australia, Kuala Lumpur to Kent, the standard of entries is exceptional,” says founder and Director, Caroline Kenyon.

“It’s so exciting to see the amount of recognition our winners receive in the media across the world. And it’s incredibly rewarding to hear about our finalists’ amazing success stories, photography commissions, road trips, invitations to host workshops and master classes in far-flung corners of the globe. That means a huge amount to my team and me

So, if you think your food photography or film could send our judges into seventh heaven, why not enter now at

https://www.pinkladyfoodphotographeroftheyear.com

Friday, August 4, 2017

সবার ছবি পত্রিকায় আসে! কিন্তু আমার? | ইমরান হোসাইন | চিত্রক

অনেকের ইচ্ছা থাকে জাতীয় কোন দৈনিক পত্রিকায় আমার ছবি ছাপা হোক, ছাপানো হোক ছবি নিয়ে একটা ফিচার,  কিন্তু হয়না, স্বপ্ন যেন স্বপ্নয় থেকে যাচ্ছে, সবার ছবি পত্রিকায় আসে! কিন্তু আমার?

তাদের কে বলছি যাদের এই ইচ্ছা পূরণ হয়না, এটা তেমন কোন জটিল বিষয় নয়, লাগবেনা কোন লিংক, তেল মালিশ করতে হবে না পত্রিকার সম্পাদক কে। আমার জানা মত বর্তমানে Daily Observer The Independent এ ফটো ফিচার ছাপানো হয়,
ইতিমধ্যে আমাদের পরিচিত অনেকের ছবি এসেছে পত্রিকায়

আসুন এবার যেনেনি কিভাবে কি করতে হবে।

Daily Observer বাংলাদেশর বেশ জনপ্রিয় একটি ইংরেজী দৈনিক, এ পত্রিকায় প্রতি বৃহস্পতিবার একটা ম্যাগাজিন থাকে Young Observer নামে, Young Observer এ একটি পাতা আছে Click & Scribbles নামে, মূলত এ পাতাটিতেই ছবি ছাপিয়ে থাকে, আর আমি যেটা বুঝেছি তারা হয়তো থীম নির্ভর ছবি ছাপিয়ে থাকে কেননা ৩রা আগস্ট এর ছবি গুলো ছিল রক্তিম দত্তের তোলা Monsoon নিয়ে, এর আগের সংখ্যায় ছিল শাহরিয়ার ফাহিমের Pattern থীম এর উপর তোলা ছবি,
সুতরাং যেকোন থীম নিয়ে আপনার তোলা ১০-১২ টি ছবি পাঠাতে পারেন তাদের ইমেলে, ছবি গুলো হতে হবে “র” সাইজের, সাথে  আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং ইংরেজীতে ছোট্ট একটি আর্টিকেল দিতে পারলেও ভাল হয়।
ছবি পাঠাবেন এই ইমেলে : youngobserverbd@gmail.com



আরেক ইংরেজী দৈনিক The Independent এ পত্রিকায়ও প্রতি বৃহস্পতিবার তাদের ম্যাগাজিন Young Independent (y&I) এর Photo Feature পাতা ছবি ছাপে , এখানে অবশ্য থীম নির্ভর নয়, তবে যে ছবি গুলো পাঠাবেন এগুলোর ক্যাটাগরি উলেখ্য করবেন,
১২-১৫ টি ছবি পাঠাতে পারেন, ছবির সাথে আরো যা যা লাগবে।
আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,(গ্লাস পরা ছাড়া), নাম, পেশা, ডিভাইস, আপনার লোকেশন, বয়স। ইমেল বডিতে তথ্য গুলো দিয়ে এবার ইমেল করে দেন।

এভাবেই ছাপাবে, কোন বড় ভাই থাকতে হবে, লিংক লাগবে এসব ফাও, ধৈর্য ধরেন, ভাল কাজের অব্যশই মূল্যায়ন হবে।

ইমেল : 
independent.young@theindependentbd.com

Sunday, July 16, 2017

যখন দিন ফুরিয়ে সন্ধ্যা নামে তখন গরুটিকে সঙ্গে করে বাড়ি ফিরে আসে পরম যত্নে | খায়রুল ইসলাম | মাস সেরা ছবি জুন-২০১৭ | চিত্রক

ছবি : খায়রুল ইসলাম
দরিদ্র রাখাল খুব ভোরে সূর্য উঠার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে কোন মতে কিছু খেয়ে কাজে বের হয়। সারাদিন মাঠে কাজ করে, নিজের জমি বলতে ঐ সামান্য একটুকরো ধানি জমি আর আছে একটি মাত্র গরু,  সারাদিন মাঠে কাজ করার সময় গরুটিকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠের এক পাশে বেঁধে রাখে  । কখনও নিজের জমিতে বা কখনও অন্যের জমিতে দিনমজুরি করে তার দিন চলে। তা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে সে হিমশিম খায়,  কিন্তু গরুটি তার আশার সম্বল । সংসারে বাড়তি দুটো টাকা আসে গরুর দুধ বিক্রি করে । দরিদ্র কৃষক পরম যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে গরুটি কে পালন করে । তাকে দু চোখের আড়াল করেনা পাছে সে হারিয়ে যায় বা তার কোন ক্ষতি হয়। তাই দিনের কাজের সময়ে চোখের সামনে মাঠের ঘাসবহুল জমিতে তাকে বেঁধে রাখে ।  নদীতে নিয়ে গোসল করায় । আবার যখন দিন ফুরিয়ে সন্ধ্যা নামে  তখন  গরুটিকে সঙ্গে করে বাড়ি  ফিরে আসে । পরম যত্নে লালন করে, কারণ সে দুধ পায়, যা বিক্রি করে সংসারে বাড়তি দুটো টাকা আসে । গোধূলি লগ্নে সে যখন গরুটিকে সাথে নিয়ে ঘরের উদ্দ্যেশে রওয়ানা হয় তখন শেষ বিকেলের মায়াবি আলোয় দরিদ্র কৃষকের মন পরম কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে গরুটির প্রতি ।  সে সপ্নাবির  অতি সন্তর্পনে ধীরে ধীরে গরুটিকে নিয়ে সারাদিনের সমস্ত কর্মক্লান্তিকে পেছনে ফেলে গৃহের উদ্দ্যেশে চলতে থাকে, মনে মনে ভবিষ্যতের সুখ স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে । একদিন গরুর বাছুরটি বড় হবে সেটা বিক্রি করে বাড়িতে ভালো একটা ঘর দেবে। গোধুলির রক্তিম আভা কৃষকের মনে মায়াবি আলো ফেলে। সে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় গ্রামের মেঠো পথ ধরে।

ছবিটি চিত্রক'র জুন-২০১৭ এর সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে।